চট্টগ্রাম -৩ সন্দ্বীপের এই সংসদীয় আসন ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বা নৌকার মাঝি আবারও (বর্তমান সাংসদ) মাহফুজুর রহমান মিতা এখন সময়ের দাবি এমন গুঞ্জন উঠেছে জনমনে। আর সেই ক্ষেত্রে তরুণ, মেধাবী, তৃণমূলের আস্থা-ভরসার প্রতিক, জন ও কর্মীবান্ধব জননেতা মাহফুজুর রহমান মিতা’র কোনো বিকল্প নেই। তিনিই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাণ, কান্ডারি আস্থা ও ভরসার প্রতিক।
সম্প্রতি আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, চট্রগ্রাম -৩ (সন্দ্বীপ) সংসদীয় আসন থেকে বর্তমানে সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা’কে ঠেকাতেই একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার টিকিট পেতে চালাচ্ছেন লবিং ও জোর তদবির।
কিন্তু থেমে নেই বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার তৃণমূলের কর্মীরা জনমনে আলোচনার ঝড় তুলেছে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি কেড়েছে। প্রমাণ করেছে তৃণমূলের রাজনীতিতে মাহফুজুর রহমান মিতা বা প্রয়াত সংসদ সদস্য দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবারের কোনো বিকল্প নেই।চট্টগ্রাম -৩(সন্দ্বীপ) সংসদীয় আসনে কে মনোনয়ন পেলো সেটা বিবেচ্য নয় এখানে আওয়ামী লীগের কারিগর বা নির্বাচনে জয় পরাজয়ের নিয়ন্ত্রক দ্বীপবন্ধুর পরিবার দাবি তৃণমূলের।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, এ আসনে টানা দুই বারের সফল এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তাদের ভরসা আবারও সন্দ্বীপে জননেত্রী শেখ হাসিনা মিতা’ কে নৌকা উপহার দিবেন। কিন্তু মিতা ছাড়াও এই আসনে দল থেকে নৌকার টিকেট চান জনবিচ্ছিন্ন ও এলাকা ছাড়া একাধিক প্রার্থী।
এদের মধ্যে কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে এমপি’ মিতার অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ় ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তিনিই প্রথম পছন্দ। নির্বাচনী এলাকায় তার বহুমাত্রিক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে নিজের অবস্থান অত্যন্ত সুসংহত। সংসদ শেষে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তিনি এলাকায় এসে বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও গ্রামগঞ্জে গণসংযোগ করে নির্বাচনী মাঠ এলাকায় সরব রাখছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখছেন প্রতিনিয়ত। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন নিয়মিত।
এছাড়াও দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন তিনি, নেত্রী তার উপর ভরসা করে দলের মনোনয়ন দিবেন বলে সকলেই মনে করছেন’। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে এমপি মিতা’র অত্যন্ত সুসম্পর্ক অনেকটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষজন।
দীর্ঘদিন ধরে একটানা এমপি থাকায় তার নির্বাচনী এলাকাকে সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। বলতে গেলে থাইল্যান্ড মালয়েশিয়ার মতো সন্দ্বীপের উন্নয়নের হাতেখড়ি তার হাত ধরে,এ উন্নয়নের ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
জনমত বিশ্লেষণে করে দেখা যায়, চট্রাগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গন,ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে জনমত জরিপ আলোচনায় রয়েছে (বর্তমান এমপি) মাহফুজুর রহমান মিতা।