1. admin@dhakarhawa.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন

পুলিশের সাথে পাঙ্গা নিতে গিয়ে শ্রীঘরে ভুয়া সিনিয়র সহকারী সচিব!

মোঃ ইস্রাফিল ->>
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৮৭ বার পঠিত

গত ১৬/১১/২০২৩ইং তারিখ বিকেলের দিকে সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয় দিয়ে রফিকুল হক মিয়া নামে এক ব্যক্তি মিরপুর পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: মাসুক মিয়ার কাছে ফোন দিয়ে দু’জনকে আইনি পরামর্শের জন্য পাঠান। তাদের কথাবার্তা অসংগ্ন হওয়ায় ফোন দেওয়া ব্যক্তিকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তাঁর কার্যালয়ে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয় দানকারী রফিকুল ইসলামের কথাবার্তাও সন্দেহজনক হওয়ায়, পুলিশের মিরপুর বিভাগ থেকে তার পরিচয় সনাক্ত করা হলে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়। ভুয়া সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে তাকে মিরপুর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬/ ১১/ ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক বিকেল ১৭.৪৫ ঘটিকার দিকে জৈনিক রফিকুল হক মিয়া(২৮) নামের এক ব্যক্তি সিনিয়র সহকরী সচিব পরিচয় দিয়ে মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: মাসুক মিয়া বিপিএম কে তার আত্মীয় নামদারি আনু মিয়া(৪৭) ও তার মেয়ে মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন রত্না(২২)কে আইনি পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়ার জন্য ফোন করে অনুরোধ করেন। উল্লেখিত বাবা- মেয়ে স্ব-শরীরে তাঁর কার্যালয় এসে দেখা করে এবং অসংলগ্ন কথা বলে। যা পুলিশের কাছে অসৎ উপায়ে পুলিশকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করার অভিপ্রায় বলে সন্দেহ হয়। ফলে,পুলিশ কর্মকর্তা ফোন দেওয়া সিনিয়র সহকারী সচিব রফিকুল হক মিয়ার সাথে কথা বলেন এবং তার কথাও এলোমেলো মনে হওয়ায় তিনি বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রসন করেন এবং তাকে তার অফিসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে ডিসি অফিসে এসে আমন্ত্রিত রফিকুল হক তার পরিচয় দিয়ে একইভাবে এলোমেলো কথা বলেন ও তিনি National Telecommunication Monitoring Centre (NTMC) তে কর্মরত আছেন এবং তিনি ৩৫ তম বিসিএস ক্যাডার বলে জানান । অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার আটকৃত আসামীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ভিজিটিং কার্ড ও তার ছবি তুলে NTMC কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করলে কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত রফিকুল হক মিয়া নামে কোন কর্মকর্তা তাদের অফিসে নাই বলে জানান। আটকৃত আসামী সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সম্বোলিত ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করে প্রতারণা করছে বিষয়টি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পরে তাকে মিরপুর মডেল থানায় সোর্পদ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণার দায়ে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ৪১৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা যায়।

এদিকে আটকৃত রফিকুল হকের প্রকৃত পরিচয়, পিতার নাম- মোঃ শামসুল হক, মাতার নাম- রাশেদা খান, বাসা নং-১০০/৩/সি,মধ্য পীরেরবাগ, মিরপুর, ঢাকা এবং সে একজন ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।

ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে মিরপুর পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: মাসুক মিয়া বলেন, ঘটনাটি ঠিক এবং এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, সরকারি -বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এ জাতীয় ভুয়া পরিচয় দানকারী প্রতারকদের কারসাজি থেকে চোখ-কান খোলা রেখে সতর্ক হওয়া উচিত।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা