1. admin@dhakarhawa.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পাইকারি গায়েবি মামলা: রিজভী

নিজস্ব প্রতিনিধি ->>
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৯১ বার পঠিত

 

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সারাদেশে নির্বিচারে পাইকারি গায়েবি মামলার বন্যা বইয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, এসব মামলায় কবরে শায়িত ব্যক্তি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী, প্রবাসীদের আসামি করা হচ্ছে। সাড়ে তিন বছর আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ছানা উল্লাহ মিয়াকে ২৮ আসামি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বিএনপিকে দোষী করার জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। ফেনীতে গাড়িতে আগুন দেওয়ার সময় যুবলীগ নেতা হাতেনাতে ধরাও পড়েছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৮০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরইমধ্যে গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে সারাদেশে বিএনপির প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এক সাংবাদিকসহ ১৩ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি গ্রেপ্তার নেতাদের ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও এ ধরনের গুম-খুনের বিরুদ্ধে আরও স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। রিজভী অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে দেশে এনে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। জনগণের কাছে স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী আজ তারেক রহমানকে হত্যা করতে চান। তিনি বলেন, আগুনে নিক্ষেপ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ শুনে আজ দেশের মানুষ আতঙ্কিত।

এর আগেও তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ময়মনসিংহের নন্দাইলে আওয়ামী লীগ নেতার প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার সমালোচনাও করেন রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সরকারের এজেন্ট দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রীকে জনপ্রিয়তা যাচাই করার আহ্বানও জানান রিজভী। আগামীকাল বুধবার থেকে আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর আগে চার দফায় ১৯৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ পণ্ডের পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ‘কঠোর’ কর্মসূচিতে যায়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি।

প্রথম দফা ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা, তৃতীয় দফা ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ও সর্বশেষ চতুর্থ দফায় ১২ নভেম্বর থেকে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় এই কর্মসূচি শেষ হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা