1. admin@dhakarhawa.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন

শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি ->>
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৯০ বার পঠিত

পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইন্ধন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ অভিযোগ তোলেন। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সম্প্রতি ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে নামেন পোশাকশ্রমিকরা। এ সময় কিছু কারখানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগও হয়। পরে সরকার আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করে। কিন্তু এই বৃদ্ধির ঘোষণাও প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। তারা ফের ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন। চলমান পরিস্থিতিতে দেশে ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। পোশাকশ্রমিকদের জন্য সরকার একটি নির্দিষ্ট মজুরি ঘোষণা করেছে, তারপরও তারা আবার রাস্তায় নেমেছেন।

বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএসহ অন্যান্য সংগঠন একত্রে বসে আলোচনা করে বেতন বাড়িয়েছে। আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছে। তবে আমরা শুনতে পাঁচ্ছি, অনেক শ্রমিকের মনে সংশয় রয়েছে গ্রেড নিয়ে। এসব নিশ্চয় আমাদের গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ অবশ্যই সমাধান করবে। তবে সমাধানের ক্ষেত্রটি আগুন-ভাঙচুর বা রাস্তা অবরোধ নয়। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের যে ভিডিও ফুটেজ পাঁচ্ছি, সেগুলোর প্রায়গুলোতে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট (কর্মী) রয়েছে। আমরা দেখেছি বিএনপির কুষ্টিয়ার একজন নেতা গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে এসে শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছিলেন।

এরকম বিভিন্ন স্থানের আমাদের কাছে যে ভিডিও ফুটেজ এসেছে, সেটা দেখে যাদের ধরতে পেরেছি তাদের সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে। তারা সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এই জায়গাটাকে বেছে নিয়েছে। যাতে এখানে সফলতা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছে। আমি মনে করি, মজুরি আট হাজার থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও যদি তাদের দাবি থাকতো, তাহলে মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করার সুযোগ থাকে। কিন্তু সেটি না করে তারা রাস্তায় নেমে নিজেদের ও দেশের ক্ষতি করছে, এ বিষয়টি তাদের চিন্তা করা উচিত। আসাদুজ্জামান বলেন, তার মানে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। বিএনপির ইন্ধন রয়েছে, অবশ্যই ইন্ধন আছে। আমরা সেটিই বলতে চেয়েছি।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা