৫ আগস্টের পর থেকে বদলে যাচ্ছে বিএনপির মাঠের চিত্র। আর্বিভাব ঘটছে হাইব্রিডদের। আন্দোলনের মাঠে ছিলেন না, মামলা-হামলা কিংবা নির্যাতনের মুখেও ছিলেন না, ঘরছাড়াও হতে হয়নি তাদের। বিগত দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে। তারাই এখন বিএনপির দাপুটে ‘হর্তাকর্তা’।
সুত্রে জানা যায়, পল্লবী এলাকার বস্তির আলম, নেছার, বাঘা মনির, এবং আলোকদ্বী গ্রামের হাকিম মাদবরের ছেলে পিন্টু মাদবর ও রাজিব দেওয়ান।
বর্তমান তারাই নব্য বিএনপি সেজে দখল দারীত্বে নেত্রিত্ব দিচ্ছেন। এখন তৃণমূলের ত্যাগীদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।
আলোকদ্বী গ্রামের রাজিব দেওয়ান ১৬ বছর ধরে ঢাকা-১৬ আসনের সাবেক এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর সাথে ছিলেন এখন রাজিব দেওয়ান পল্লবী মার্কেটে পিছনে অফিস নিয়ে বিএনপির নেতা পরিচয়ে বিচার শালিস শুরু করছেন। সারা রাত অফিসের মধ্যে চলে মদ ও জোয়ার আসর, তাছাড়া অফিসের মধ্যে সুন্দরী মেয়েদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।
তারা এখন বিএনপির বিভিন্ন নেতার বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে ছুটছেন। ভিড় করছেন বিভিন্ন লবিং-তদবির নিয়ে।
অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে যেসব নেতাকর্মী রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন, তারা এখন ‘অসহায়’।
এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন কায়দা-কানুন করে দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে আখের গোছানোর চেষ্টা করছেন বলে তারা জানতে পারছেন।
এসব নেতাকর্মীই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। চতুর প্রকৃতির হাইব্রিড নেতারা সুযোগ বুঝে সটকে পড়লেও ধরা খাচ্ছেন বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী। যাদের অপকর্মের দায়ে বহিষ্কার হতে হচ্ছে।