শুক্রবার বিকেল ৪ টায় গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ এর উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এর ঐতিহাসিক সমাপ্তি ২০২৪ এর ছাত্র জনতার এই অভ্যুত্থান।
দীর্ঘ ১৬ বছর শেখ হাসিনার গুম খুন হত্যা নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ এই অভ্যুত্থান। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সাথে গণঅধিকার পরিষদ, বিএনপি, জামাত, ডান বাম সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। এই আন্দোলনের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড নেই, তবে এটাও অস্বীকার করার সাধ্য নাই ছাত্র-জনতা ভিপি নুরের কথা রেখে অবশিষ্ট ১০ পারসেন্ট ধাক্কা দিয়ে সরকার পতন করেছে।
তিনি আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের এই বিপ্লবে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের এই পবিত্র রক্ত বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশে কোনো ভাবেই আওয়ামী প্রেতাত্মা ভর করতে দেয়া যাবে না। বিপ্লবোত্তর এই দেশকে আমাদেরই গড়তে হবে।
আর যেনো কেউ এই দেশে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে সেই দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশের সব সেক্টরে সংস্কার জরুরি। খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগ যেনো পুনর্বাসিত হতে না পারে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। খুনের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এই অভ্যুত্থানে ঘটিত সকল ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশ দাতারদেরও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।