ঢাকায় পুলিশের নজরদারির কারণে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে ভারতের কলকাতায় নিয়ে পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলে জানান, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে সেখানে হত্যার পর হত্যাকারীরা এমনভাবে লাশ গুমের চেষ্টা করেছে যাতে কোনো হদিস না মেলে। লাশ গুমের জন্য শরীর টুকরো টুকরো করে হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে পৃথক পৃথক ট্রলিতে করে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় যাতে কেউ আটকালেও বুঝতে না পারে, সে জন্য মাংসের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে খাবার উপযোগী মাংসের মতো বানানো হয়। তবে কোথায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ডিবিপ্রধান বলেন, দুই-তিন মাস আগে অপরাধীরা পরিকল্পনা করেছিল রাজধানীর গুলশান ও বসুন্ধরার বাসায় এমপি আনারকে হত্যা করার। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় হত্যাকাণ্ডের পরে সব হত্যার ক্লু পুলিশ বের করেছে বলেই হত্যাকারীরা কলকাতায় নিয়ে এমপিকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে অপরাধ করার সাহস পায়নি অপরাধীরা। বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না, তাই অপরাধীরা কলকাতাকে বেছে নিয়েছে হত্যার নিরাপদ স্থান হিসাবে।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বিদেশের মাটিতে এ হত্যাকাণ্ডের পরও তারা পালিয়ে থাকতে পারেনি। আমরা তিনজকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও কয়েকজনকে নজরাদিতে রাখা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। ভারতীয় পুলিশ গাড়ির চালককে নিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুরোপুরি না পেলেও মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।