পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বাঁশি বাজিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। আমাদের স্বাধীনতা অনেক যুদ্ধ এবং অনেক রক্তের ফসল। আমাদের এই স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে মতিউর রহমানের আত্মদান রয়েছে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
আজ বুধবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউটে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ অনেকে স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস বিকৃত করে। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাসংগ্রাম বিকৃত করে। বলার চেষ্টা করে, একটি হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতাসংগ্রাম তাঁরা অস্বীকার করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে পলে পলে আন্দোলিত করে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। আজ পুরো পৃথিবী নতুনভাবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এতে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই আবোল-তাবোল বকছে। তাঁরা এখন উপলব্ধি করছে, নির্বাচন বর্জন করা তাঁদের জন্য আত্মাহুতির শামিল হয়েছে।
প্রতীকবিহীন নির্বাচন নতুন কিছু কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি, এরপর যখন উপজেলা নির্বাচন হয় তখন কিন্তু প্রতীক ছিল না।
প্রতীক দেওয়ার বিধান পরে চালু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বরাবরই প্রতীকবিহীন হয়েছে। আমরা আগের সেই পদ্ধতির কথাই বলেছি। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে এবং যে যার মতো নির্বাচন করবে। যারা বিজয়ী হবেন, তাঁরা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। এটা নতুন কিছু না।
এর আগে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা এতে অংশ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, আওয়ামী লীগের উপণ্ডদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ কামাল, আইনবিষয়ক সম্পাদক জগলুল কবির ও দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।