আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রকাশের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিল যে মহেশখালী টার্মিনালে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত এবং এলএনজি সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং হতে পারে।
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শীত মৌসুম এবং অবৈধ গ্যাসের লাইনের কারণেই গ্যাসের বেশি সংকট দেখা দিয়েছে। শিগগিরই ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট কেটে যাবে।।
তিনি জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সকল গ্রাহককেই প্রিপেইড গ্যাস মিটার আওতায় আনা হবে। এরপর থেকেই নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তবে বাসা বাড়িতে এখন এলপিজি গ্যাস সরবরাহের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। এলপিজি গ্যাসের দামও অনেকটা কমে গেছে তুলনামূলকভাবে। শিল্পকল কারখানায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস দেয়ার গুরুত্ব বেশি থাকবে। বাসা বাড়িতে এলপিজি গ্যাস দেয়ার লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
গ্যাসের দাম বাড়বে এমন গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে নিজস্ব গ্যাস আহরণে আশাবাদী সরকার। বাসা বাড়ির গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে না। গ্যাসের দাম বাড়বে বলে গুজবে কান না দেয়াই ভালো।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, মহেশখালীতে টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটিতে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে সাময়িকভাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে দেশের কিছু অঞ্চলে হয়তো লোডশেডিং হতে পারে। তবে এটি সাময়িক সমস্যা। যা দ্রুত কেটে যাবে।