গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ১০ পর্যন্ত (১৬ ঘণ্টায়) সারাদেশে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ১৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এতে ৬টি যানবাহন ও ৯টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আগুনে একটি বৌদ্ধ মন্দির ও আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া গতকাল রাত ৯টায় ট্রেনে আগুন লেগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল এসব তথ্য জানিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আরো জানায়, ঢাকা সিটিতে ১টি, ঢাকা বিভাগ ৪ টি (নারায়ণগঞ্জ ১, গাজীপুর সদর ২, কালিয়াকৈর ১), সিলেট বিভাগে ২ (দক্ষিণ সিলেট, চুনারুঘাট), চট্টগ্রাম বিভাগে ৪টি (রামু ১, ফেনী ১, সীতাকুন্ড ১, চট্টগ্রাম সিটি ১) ময়মনসিংহ বিভাগে ৩টি (নান্দাইল ১, গফরগাঁও ১, শেরপুর ১) আগুনের ঘটনা ঘটে।
এই অগ্নিকাণ্ডে ট্রেন ১টি (৪ টি বগি), পিকআপ ২ টি, ট্রাক ১ টি, কাভার্ড ভ্যান ২ টি, বৌদ্ধ মন্দির ১ টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৮ টি পুড়ে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩২টি ইউনিট ও ১৫১ জন জনবল কাজ করে।
৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা ১৮ মিনিটে পঞ্চবটি মোড়, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জে ১টি পিকআপে আগুন দেওয়া হয়। ৯ টা ০৫ মিনিটে- গোলাপবাগ, গোপীবাগ, ঢাকা, বেনাপোল এক্সপেস ট্রেনে আগুনের ঘটনা ঘটে।
৬ জানুয়ারি রাত ০০.০৫- চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন। রাত ১.২৪- গাজীপুর সদর, পূর্ব চন্দনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন।
রাত ২.৪৪- গাজীপুর, টিএনটি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন। রাত ২.৪৪- সাত মাইল, সিলেট দক্ষিণ, ১ ট্রাকে আগুন। রাত ২.৪৫- লাতুমিয়া ব্রিজ, লালপুর ফেনী সদর, দুটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন। রাত ২.৫০- রামু, বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন। রাত ৪.৩৩-গফরগাঁও, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন।
ভোর ৫.০০- নিশ্চিন্তপাড়া, চট্টগ্রাম সিটি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন। ভোর ৫.৫০- মোস্তফা ফিলিং স্টেশনের সামনে, ফকিরহাট, সীতাকুন্ড, ১টি পিকআপে আগুন। সকাল ৬.৩৪- বাজিতখিলা, শেরপুর, ময়মনসিংহ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন। সকাল ৮.০৫-মৌচাক, কালিয়াকৈর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন। সকাল ৯.১৫- নান্দাইল, ময়মনসিংহ, হরিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন।