মিরপুরের স্পিন বান্ধব উইকেটে উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো বরাবরই খাবি খায়।
অতীত পরিসংখ্যানেও আছে তেমন কিছুর ইঙ্গিত। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো মিরপুরেই বাংলাদেশের স্পিন জাদুতে পরাস্ত হয়েছিল। সিলেট টেস্টে বড় ব্যবধানে হার মানা নিউজিল্যান্ডও জানে মিরপুরের কন্ডিশন সফরকারী দলের কতটা কঠিন। উইকেট স্পিন সহায়ক হবে ভেবে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই মিরপুর টেস্টে মাঠে নামবে কিউইরা। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক টিম সাউদি তেমনটাই জানিয়ে গেছেন। উইকেট প্রশ্নে কিউই অধিনায়ক বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আপনি বিশ্বের এই অংশে খেলতে এলে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে স্পিনাররা বড় ভূমিকা পালন করবে।
আমরা প্রথম ম্যাচেও তা দেখেছি। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই রকম কিছু প্রত্যাশা করছি। যদিও আমরা দেখেছি পেসার কাইল (জেমিসন) প্রথম ম্যাচে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। আশা করছি এই ম্যাচেও পারবে। তবে লড়াইটা স্পিনারদের ভেতরে হবে বলতে দ্বিধা নেই। এটা আমরা দ্বিতীয় টেস্টে প্রত্যাশা করছি।’ সিলেট টেস্টের ভুলগুলো শুধরে ঢাকায় এখন ভালো করতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড, ‘প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া সব সময়ই হতাশার। তবে আমাদের সুযোগ আছে দ্বিতীয় টেস্টে ভালো ক্রিকেট খেলার। ভিন্ন কন্ডিশন, আমাদেরকে এখানে মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলার সুযোগ খুঁজতে হবে।
আমরা মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। উপমহাদেশের এই কন্ডিশনে এসব চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ভিন্ন আমেজ রয়েছে। আগামী পাঁচ দিন সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা মুখিয়ে।’ সিলেটে ব্যাটিংই নিউজিল্যান্ডকে ভুগিয়েছে। এবার ঢাকাতে আর ভুল করতে চায় না তারা। আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের বদলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার কথা বললেন টিম সাউদি, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের ভিন্ন স্টাইল রয়েছে। বাংলাদেশ দলে যেমন শান্ত কিছুটা বেশি আক্রমণাত্মক খেলে মুমিনুলের চেয়ে। এটা যার যার ব্যাটিংয়ের ধরন। আমাদের ছেলেরাও তাদের থেকে ভিন্ন। এজন্য নিজেদের স্টাইলে বিশ্বাস করা এবং মাঠে যেগুলো পারে সেগুলোই বারবার করা উচিত।’ নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সাউদি বলেছেন, ‘আমরা শেষ ম্যাচের পর আলোচনায় বসেছিলাম। লম্বা সময় ধরে বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা থাকা জরুরি। সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের বড় জুটিও গড়তে হবে।
আমাদের ভালোমানের ট্রেনিং হয়েছে শেষ দুদিন। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আমরা টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামার অপেক্ষায়।