1. admin@dhakarhawa.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

থানায় অস্ত্র জমা না দেয়ায় শত শত লাইসেন্স বাতিল

বিশেষ প্রতিনিধি ->>
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার পঠিত

সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে থানায় অস্ত্র জমা না দেয়ায় শত শত লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

বিগত সরকার বিগত ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছিল, এর মধ্যে প্রায় ৭০০ লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। ওসব অস্ত্রধারীর নামে মামলাও করেছে পুলিশ। আর এ-সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। এখন বৈধ অস্ত্রধারীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে সরকার। আর যেসব অস্ত্রধারী সরকারের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন, ফের অস্ত্র ফেরত পেতে তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু যাছাই-বাছাই ছাড়া তাদের অস্ত্র ফেরত দেয়া হবে না।

এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে চারজনের একটি কমিটি করেছে। ওই কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর জেলা পুলিশ সুপার এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার উপপরিচালককে সদস্য করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নেয়া অস্ত্র থানায় জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়। ওই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে ডিসি ও এসপিদের চিঠি পাঠানো হয়। এরপর একাধিকবার সময় দিলেও বৈধ অস্ত্রধারী অনেকেই অস্ত্র জমা দেননি।

তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে শুরু জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা। তারা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ সুপারিশে এবং বিশেষ উদ্দেশ্যেই অস্ত্রের লাইসেন্স পান। এখন থানায় জমা না হওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে এসপিদের মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিসিরা। ইতিমধ্যে ৭০০-এর কিছু কম-বেশি লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আরলাইসেন্স বাতিল হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় সবচেয়ে বেশি। ওসব অস্ত্রের অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশ মেনে থানায় জমা দেয়া অস্ত্র ফেরতের জন্য যারা আবেদন করেছে তা যাছাই-বাছাই করবে সরকার।

কে কোন যোগ্যতায় লাইসেন্স পেয়ে বিশ্লেষণ করা হবে। তারা যদি অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন, তাহলে তাদের অস্ত্র ফেরত দেবে প্রশাসন। এ-সংক্রান্ত কমিটি এরই মধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা বিভাগের ২৫ আগস্টের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ অনুযায়ী জমা হওয়া বৈধ অস্ত্র লাইসেন্সধারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেরত দিতে হলে বিশদভাবে যাছাই-বাছাই করতে হবে। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ইস্যুকৃত এবং যেসব অস্ত্র ফেরত দিলে তা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হবে, সেসব অস্ত্র ফেরত দেয়া হবে না।

যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা চলমান আছে বা যারা ফৌজদারি অপরাধে এরই মধ্যে দণ্ডিত হয়েছেন, তাদের অস্ত্র ফেরত দেয়া হবে না। ওই কমিটি নির্ধারিত তারিখের পরে জমাকৃত অস্ত্রের বিষয়ে যৌক্তিকতা পর্যালোচনাপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুপারিশ প্রণয়নপূর্বক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠাবে। কমিটি প্রতিটি আবেদনের যৌক্তিকতা পৃথকভাবে বিশ্লেষণপূর্বক সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া গৃহীত সব সিদ্ধান্তের প্রতিবেদন প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠাবে। সূত্র আরো জানায়, বৈধ অস্ত্রধারীদের রাজনৈতিক পরিচয় এবং সমাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নেয়া হবে।

আদৌ তাদের অস্ত্রের প্রয়োজন আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা অনুসরণ করেই অস্ত্র ফেরত দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। বিশেষ করে ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কিংবা মামলা চলমান এমন ব্যক্তিরা অস্ত্র ফেরত পাবেন না। তাদের লাইসেন্সও বাতিল হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা