ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একজন সুইপার এবং কবর খোদকের কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি ও আলিশান ফ্লাটের তদন্ত করতে গিয়ে চমকে গেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মাত্র কয়েক বছরে অল্প বেতনের চাকরীতে এতো সম্পদ কি ভাবে করলো তার তদন্ত শেষ করলেও সম্পদ বানানোর গল্প যেন ভুলতেই পারছেনা সংস্থাটির সংশ্লিষ্টরা।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-২ এর সুইপার পদে চাকরী করেন খোকন মল্লিক। একই অফিসের আওতাধীনে কবর খোদক বা গ্রেভডিগার পদে চাকরী করেন জসিম হাওলাদার। এ দুই জনই মুলত: মাস্টার রোলের চাকরিজীবী। দুজনেরই চাকরীর বসয় খুব বেশি বছর হয়নি। এই অল্প কয়েক বছরেই রুপনগর ইস্টার্ন হাউজিং-এ দেড় কোটি টাকায় জায়গা কিনে ছয় তলা একটি বাড়ি করেছেন আর মিরপুর পল্লবী সি ব্লক তিন নম্বর রোডে দুইজনে কিনেছেন দুটি আলিশান ফ্লাট। এছাড়াও গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন জমিজমা। তৈরি করেছেন পাকা বাড়ি।
আলাদ্বীনের চেরাগের মতো তাদের হাতে এমন কি ছিল যে, আট বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন তা খতিয়ে দেখছে দুদক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সমাজ কল্যান বিভাগের কর্মচারী হিসেবে খোকন মল্লিক মিরপুর-১২ কমিউনিটি সেন্টারে সুইপারের কাজ করতেন। অন্যদিকে রায়ের বাজার বদ্ধভূমিতে কবর খোদকের কাজ করতেন জসিম উদ্দিন হাওলাদার। এই দুজনকেই কয়েক বছর আগে প্রেসনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-২ এ ট্রেড লাইসেন্স শাখায় অফিস সহকারি পদে বদলী করে আনা হয়েছে। সুইপার এবং কবর খোদক কিভাবে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি মদ মযর্দায় ট্রেড লাইসেন্স শাখায় প্রেসনে অফিস সহকারি হিসেবে কাজ করেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
জসিম হাওলাদার যখন কবর খোদাক হিসেবে কাজ করতেন তখন বকশিষ নেওয়ার নামে উপারি অর্জন করতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। আর এখন জসিম এবং খোকনের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের নানা প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ট্রেডলাইসেন্স নিতে হলে কমপক্ষে ২ হাজার টাকা উপরি অর্থ দিতে হয় এই দুইজনকে। যদিও বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। (দুই পর্বের প্রথম পর্ব)