বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মিরপুর অফিসের সব সেবা ঘুস, দুর্নীতি ও দালালচক্রে আটকা পড়েছে। দালাল পরিবেষ্টিত এ অফিসে দীর্ঘদিন ধরে থাকা কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের ‘বিশ্বস্ত দালালচক্র’ তৈরি করেছেন এই রাকির । তাদের কাছেই জিম্মি হয়ে পড়েছেন এই অফিসের সেবাপ্রার্থীরা। ঘুষ ও দালাল ছাড়া মিলে না কোন সেবা। অন্যথায় হতে হয় হয়রানির শিকার। কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স, মালিকানা বন্দি শাখাসহ সকল ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে আবেদনে ও সাপোর্টিং ডকুমেন্টে নানা রকম ভুল ধরে করা হয় হয়রানি। ফলে হয়রানি এড়াতে দালালের শরণাপন্ন হতেই হয়।
কয়েকজন সেবাপ্রার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, টাকা ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া এখানে অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। মিরপুর বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স, মালিক না বদলি শাখায় ,ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন থেকে সব কিছুই দালালদের নির্দিষ্ট করা হারে ঘুস দিয়ে কাজ করাতে হয়। সেবার বিষয়ে কর্মকর্তারা বরাবরই থাকেন নীরব। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দালালদের সাজা দেওয়া হলেও প্রকৃত দালালরা অধরাই থেকে যায়। কিন্তু মিরপুর মালিকানা বদলি শাখার ১১৬ নম্বর রুমে গ্রাহকদের হয়রানির শেষ নেই! মোবাইলের মতন ওয়েটিং রেখে একের পর এক কাজ করেন । এই সেকশনে গ্রাহকরা সরাসরি তাদের গাড়ীর কাগজ পত্র নিয়ে, গেলে ওই সেকশনের অফিস সহকারী রাকিব।
সরকারি অফিস চারটা পর্যন্ত থাকা সত্ত্বেও বাড়তি তারা কাজ করে রাত দশটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এমন চিত্র গণমাধ্যমের হাতে পৌঁছালো, মো.রাকিব তার নিজস্ব বাহীনি দিয়ে কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সব কিছু , গোপনে তাদের লেনদেন হয়। তার বাহীনির সদস্যরা হলো, জসিম, সুমন, গিয়াস ,কবির নতুন নতুন দালালের অনাগোনাহ আরো অনেকেই নতুন দালাল সংযুক্ত হন। সরকারি অফিস বন্ধ থাকার পরেও তারা গার্মেন্টস কোয়ালিটির মতন ওভারটাইম করে টাকার বিনিময়ে ।
এই সুযোগে দালাল চক্রটি গ্রাহকদের ফাইল নিয়ে দেখে এবং তাদেরকে বলে আপনার ফাইলে এই সমস্যা ওই সমস্যা বলে গ্রাহকদের ভয়ভীতি লাগিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় সন্ধ্যা হলেই বাতি অফ করে অন্ধকারে তাদের লেনদেন চলে ।গ্রাহকদের অভিযোগে জানা গেছে, বিক্রেতা ও ক্রেতা অফিসে হাজির থাকা সত্তে ও তারা বলে মটোরযান পরিদর্শক অরুন সরকার ১১১ নাম্বার রুমে যান, ফাইল মার্ক করে নিয়ে আসুন। গ্রাহক ১১১ নাম্বার রুমে গেলে অরুন সরকার আবার রেফার করে সহকারী পরিচালক মো. শেখ রাজিবুল ইসলাম কাছ থেকে ফাইলে মার্ক করে নিয়ে আসেন। তখন গ্রাহকরা উপরে বড় কর্তার কাছে রুমে ফাইল নিয়ে গেলে তিনি বলেন, হু ইজ মার্ক। পরে গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের ইংলিশে কথা বার্তা বলে গ্রাহকের সাথে অথচ ইংলিশ বলতে তারা কোন শব্দ বুঝি না। এসব ইংলিশ উল্টাপাল্টা বলে গ্রাহকদের আর বিভ্রান্তি মনে করেন। অনেককে রাখা বলেন যদি আমরা যাই কোন কাজের জন্য তারা যাতা ব্যবহার করেন এবং উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলেন এগুলো হবে না পড়ে আসেন শুধু আমার মনে হচ্ছে টাকা দিলেই তারা সহজেই সমাধান হয়।
যদি আমরা বলি আপনার বিষয়ে আমরা দেখতেছি! তখন হাসিমুখে বলে ওকে, ওকে ফাইন ফাইন দেখতেছি।পরে আবার তিনি গ্রাহকদের বলে যে রুম থেকে এসেছেন সেই রুমে যান।গ্রাহক আবার পুনরায় ১১৬ নাম্বার রুমেই ফিরে যায়। এই সুযোগে রাকিব এর দালাল চক্রের সদস্য দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি ফাইলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। অনেক গেহাগরা বললেন ভাই বর্তমানে অবস্থা আমাদের খারাপ এত টাকা কেন দিব দালাল এবং রাকিব বলেন আগে সিস্টেম নাই এখন সিস্টেম অনেক উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে অনেক কাজের রিক্স , আছে বড় বড় অফিসার কে টাকা দিয়ে দিতে হয় প্রতি সপ্তাহ হয়। , কথায় আছে না কেউ দেখায় চোরের ভয় আর কেউ দেখে ডাকাতের ভয়? সে এমন একটি সূত্র ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে রাকিবের ব্যবহার করছে ।
এমন কি সরে -জমিনে দেখা যায়, রাকিবের পালিত লোকজন মাক্স মুখে দিয়ে অফিসার সেজে ভিডিও কলে বিক্রিতা হাজিরা নেয়। এই একটি সেকশন থেকে রাকিবের মাধ্যমে মটোরযান পরিদর্শক অরুন সরকার ও সহকারী পরিচালক মো.রাজিবুল ইসলাম , প্রতিদিন লাখ টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনগণের স্বার্থে সরকারের দৃষ্টি আর্কশনের জন্য গনমাধ্যমে তথ্য চিত্র ভিক্তিতে সংবাদটি প্রকাশ করা হলো ।
প্রতিনিধি জিজ্ঞাসা করলে, আপনার এখানে অনেক দালাল আনাগোনা কেন, সে বলে কে আপনি তো চিনি না আপনার পত্রিকায় কেউ চিনে বা কেউ পড়ে। আপনার সাথে কথা বলার সময় এখন আমার নেই অনেক কাজ হাতে।
(পর্ব ১)…..বিস্তারিত ২য় পর্বে