রাজধানীর মিরপুর বিজয় রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (বিডি) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে দীর্ঘদিনের দন্দের প্রক্ষিতে মাহামাণ্য হাইকোর্ট কর্তৃক কোম্পানির এমডি সুইস নাগরিক ফাঁদি বিতার ও কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার ও পরিচালক এস একে একরামুজ্জামান ও তার ভাই আনোয়ারুজ্জামানকে বহাল রেখে মহামাণ্য হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল হাকিমকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান করে তিন জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিযুক্ত করেন। এই পর্ষদের একজন স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব আহমেদ মুশফিক আনাম অতি দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্ত প্রকৃতির ব্যক্তি। সে পর্ষদের কাউকে তোয়াক্কা না করে তার নির্দেশেই কোম্পানিতে নিয়োগকৃ দুর্নীতিবাজ ও দুর্দান্ত প্রকৃতির সিওও রশিদুল আলম তার দুর্বৃত্ত প্রকৃতির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে মারধর ও একাধিক মিথ্যা মামলায় জরিয়ে দিয়ে হয়রানি করে কোম্পানির এমডি সুইস নাগরিক ফাঁদি বিতারকে অফিস থেকে বাহির করে দিয়ে মিরপুররস্হ রাকিন অফিসকে প্রতারণা, জাল জালিয়াতি ও টর্চারের দুর্ঘ্য গড়ে তুলে।
প্রতারক ও জ্বাল জালিয়াতির সদস্যরা রাকিন কর্তৃক বিজয় রাকিন সিটি থেকে ক্রয় সূত্রে কয়েকজন অসৎ ও দুষ্ট প্রকৃতির ফ্ল্যাট মালিককে নানান প্রলোভনে ফেলে বশিভূত করে তাদের সহযোগিতায় রাকিন ডেভেলপার থেকে ফ্ল্যাট বুকিং কারীদেরকে ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রেশন করে দিবে এরুপ আশ্বাস দিয়ে ফ্ল্যাটের কিস্তির টাকা কোম্পানির ব্যংকে লেনদেনে জটিলতা রয়েছে জানিয়ে নগদে গ্রহণ করে ২০২২ সন থেকে আজ অবদী নানান অজুহাত দেখিয়ে ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রেশন না দিয়ে ঘোর পাক খাওয়ায়ে শত শত কোটি টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হলে কোম্পানির ভাবমূর্তি শুণ্যর কোটায় পৌছায় ।
অপরদিকে রাকিন ডেভেলপার কোম্পানির নির্মাণধীন প্রকল্প বিজয় রাকিন সিটির নির্মাণ কাজ একযোগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও শেষ না করায় বাসিন্দারা অনেক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে মানবেতর ও অনিরাপদ জীবন যাপন করছে। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী বাসিন্দারা কোম্পানির দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সিটির নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত থাকায় রাকিনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবিসহ সিটির অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করা হলেও তৎকালীন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার সরকারের দুজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্য( ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও এসএকে একরামুজ্জামান) থাকায় দাবীসমুহ অপুরণীয় থেকে যায়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বাসিন্দারা অন্তর্বতী কালীন সরকারের নিকট দাবী জানানোর আগেই ছাত্র – জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে অন্তর্তীকালীন সরকার আসার পর চাতুর ও দুর্নীতিবাজ রাকিনের কর্মকর্তা মুশফিক আনামের পরামর্শে কোম্পানির সিওও রশিদুল আলম কৌশল পরিবর্তন করে লেবার ও টুকাই শ্রেণির লোকদের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে সিটিতে মহরার মাধ্যমে সিটির বাসিন্দাদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে প্রথমে সিটির মূল ফটকের গেইটে সোসাইটির নামফলক ভেঙে ফেলে ও নিরাপত্তা প্রহরী অপসারণ করে তাদের বশিভূতকৃত ক্রয়কৃত অসৎ ফ্ল্যাট মালিকদেরকে ও তাদের ছেলেদের সমন্বয়ে বৈষম্যহীন নামটি তাদের অসৎ কাজে ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদেরকে নানানভাবে হেনস্তা করছে সরজমিনে দেখা গেছে এবং বাসিন্দা অনেককে হত্যার হুমকিসহ নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে এ ডেভেলপার কোম্পানির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
শুধু তাই নয় সিটি তদারকি ও ব্যবস্হাপনায় নিয়ত ভুক্তভোগী ফ্ল্যাট মালিকদের সংগঠন সোসাইটির(সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত ও ডেভেলপারের অনাপত্তিপত্র মোতাবেক গঠিত) সহিত সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈয়ার করতে একই সোসাইটিতে পূণরায় আরেকটি এ্যাসোশিয়েসন গঠন করার ফাঁদে বাসিন্দাদের ফেলে বাসিন্দাদের নিকট প্রতি ভবন থেকে আগামী ১৫-১০-২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রতিনিধি চেয়ে পত্র প্রেরণ করে বাসিন্দাদেরকে বিভ্রান্তে ফেলে দেয় এবং তাদের এই ষড়যন্ত্রের ফাদে ফেলতে ১৫ তারিখের পুর্বে অর্থাৎ ১৪ তারিখ গভীর রাতে সোসাইটিকে হেয় ও বাসিন্দাদের মাঝে একধরনের বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সোসাইটির ব্যপারে মিথ্যা ও আপত্তিকর লেখনী ৬’*৩’ মাপের ফেষ্টুন একসাথে তিনটি করে প্রতিটি ভবনের দেয়ালে লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়।এব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বাসিন্দার নিকট থেকে জানতে চাওয়া হলে জানা যায় রাকিনের কতিপয় চাতুর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা তাদের সীমাহীন দুর্নীতি ও প্রতারণার বিষয়টি আড়াল করতে এই ধরনের অপতৎপরতা আগেও চালিয়েছে এখনো অব্যাহত রাখায় জনমনে এ কোম্পানি সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে ও এ ডেভলপারের প্রতি বাসিন্দাদের অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে ।তাদের এই অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যপারে কেহ প্রতিবাদ করলে জীবননাশ ঘটানোর হুমকিসহ নানাভাবে হুমকি প্রদান করায় প্রতিবাদ করতে কেহই সাহস পাচ্ছেনা।
এহেন পরিস্থিতিতে রাকিনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি নিশ্চিত করনপূর্বক তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করে সিটির অসমাপ্ত কাজ রাকিনকে দিয়ে দ্রুত শেষ করার লক্ষে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সরকারের ও ডেভেলপার কোম্পানির প্রকৃত মালিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।