চিড়িয়াখানার দুটি হাতি প্রায় পাগল হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। গত রোজার ঈদের সময় মানুষ হত্যা করেছিল যে রাজাবাহাদুর নামের হাতি সেটিও এর মধ্যে রয়েছে । যা দর্শনার্থীদের জন্য ভয়াবহ একটি বার্তা বলে মনে করছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার প্রধান মাহুতের ছেলেকে পায়ে পিষে মেরে ফেলার পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে হাতিদের পাগল হয়ে যাওয়ার তথ্য পায় ঢাকার হাওয়ার এই প্রতিবেদক।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, বহিরাগত দুটি হাতি এবং চিড়িয়াখানায় তিনটি নিজস্ব হাতি মিলে মোট পাঁচটি হাতি নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার হাতিশাল তৈরি করা হয়েছে। এতো বড় হাতিশাল করা হলেও মূলত: হাতি লালন পালন করার প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। রয়েছে হাতির খাদ্য সংকট।
গত রোজার ঈদের দিন ১৮ বছর বয়সী জাহিদ নামের যে ছেলেটিকে রাজাবাহাদুর নামের হাতিটি নির্মমভাবে পায়ে পিষে মেরে ফেলেছিল সেটি ছিল বহিরাগত । ২০১৮ সালে ওই হাতিটিকে রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চাঁদাবাজি করার সময় র্যাব আটক করে আইনি প্রক্রিয়ায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রেখে দিয়েছিল। এখন সেটাই গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।
ঈদে মানুষ হত্যার পর মূলত: হাতিগুলোকে আর জনসম্মুখে আনা হচ্ছে না। সব হাতিগুলোকে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রাখা হয়েছে। সামনে এবং পেছনে দুই পায়েই শিকল পড়িয়ে রাখা হচ্ছে প্রশ্রাব পায়খানায় কর্দমাক্ত সেডে। প্রশ্রাবের জল জমে গেছে হাতির পায়ের নিচে । কিলবিল করছে নানা পোকামাকড়, পূঁতি দুর্গন্ধ , হাতিগুলো দিনের পর দিন ঘুমাতে পারছেনা সেই পঁচা জলের মধ্যে, চরম বিরুপ পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ওই হাতিগুলোর মানসিক বৈকাল্য দেখা দিয়েছে এবং চরম রাগান্বিত অবস্থার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন মাহুত। তিনি বলেছেন, একটি হাতি পাগল হওয়ার সময় যে রকম আচরন করে এবং তাদের যে শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায় সেই লক্ষন দুটি হাতির মধ্যে দেখা গিয়েছে। বাকি হাতিগুলোও স্বাভাবিক আচারন করছে না। ( এ বিষয়ে আরো জানতে দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুন…)