বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে দেশ, জাঁতি ও গণতন্ত্রের শত্রু। তাদের ঠাঁই এদেশে হবে না। খুনি এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতি এদেশে করার কোন অধিকার নাই।
মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে রংপুর বিভাগীয় বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আয়োজিত সমাবেশ ও শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন। এ সময় শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতরা ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জুলাই আগস্টের বিপ্লবে একটি যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু দ্বিতীয় যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের দ্বিতীয় যুদ্ধ হচ্ছে একটু সুষ্ঠু অবাধ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। অবিলম্বে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারকে নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি জুলাই আগস্টের বিপ্লব শুধু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের ৪২২ জন সৈনিক প্রাণ দিয়েছে। তিনি বলেন বিগত সতেরো বছর ধরে বিএনপি লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে বিপ্লবের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। তিনি বলেন বিএনপি একটি দেশপ্রেমিক দল অথচ কেউ কেউ অপকর্ম করে এই দলের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে এ ব্যাপারে তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিচ্ছুজ্জামান খান বাবু, পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য বিলকিস ইসলাম, সাহিদার রহমান জোসনা প্রমুখ। এ সময় রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যড. মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সাধারণ সম্পাদক শাহ জিল্লুর রহমান জেম্স, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নুরন্নবী মিলন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজ লাবু, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এ্যাড. রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সাধারণ সম্পাদক আরজানা সালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের সমাবেশ শেষে মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজের নেতৃত্বে একটি বিরাট শোভাযাত্রা নগরীর রাধাবল্লভ বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় হয়ে কাছারি বাজার, সিটি বাজার, সুপার মার্কেট, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় ঘুরে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রংপুর মহানগর ও জেলা ছাড়াও বিভাগের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঠাকুরগাও, পঞ্চগড় এবং সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, ওলামা দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।