উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় চেয়ারমান পদে সুনীল কুমার সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুমন চন্দ্র দাস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. লায়লা বানু প্রাথমিক বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বুধবার (২৯মে) রাত সাড়ে ১০টায় সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম শরীফুল হক উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
চেয়ারম্যান পদে ৩৭ হাজার ৯৭৮ ভোট পেয়ে প্রাথমিক বে-সরকাবিভাবে নির্বাচতি হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা, (দোয়াত কলম)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (ঘোড়া) পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৯ ভোট এছাড়াও মো: আহসানুল হক পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬২৯ ভোট, শ্রী জ্যোতিষ চন্দ্র রায় (মোটর সাইকেল) ১২ হাজার ৪৭৬ ভোট, মো. মোকাররম হোসেন
(আনারস) পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৬৯ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুমন চন্দ্র দাস (বৈদ্যুতিক বাঘ) ৪৯ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ (মাইক) ৪০ হাজার ১০৩ ভোট পেয়েছেন এবং মো. জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ৫হাজার ৯৬৩ ভোট।
সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪
হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচতি হয়েছেন মোছা. লায়লা বানু (প্রজাপতি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তরুবালা রায় (কলস) ২৫ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন। মোছা. ওয়াজিদা খাতুন (ফুটবল) ১৬হাজার ৯৪৮ ভোট এবং পুর্নিমা মহান্ত (পদ্মফুল) ৮ হাজার ৩২৩ ভোট। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এস এম সাইফুর রহমান বলেন, “এ নির্বাচনে চিরিরবন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলার ৯৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৮.৩৬শতাংশ। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৯৯ হাজার ১২৪জন। ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চিরিরবন্দর উপজেলা। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ১২৬ জন ও মহিলা ১ লাখ ২৮ হাজার ২৬২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। ৯৫টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শান্তিপুন্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে”।
এ নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের বাহিরে মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স র্যাব, বি.জি.বি, নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট টহল জোরদার ছিল।