পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের চাকুরীতে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হকের হস্তক্ষেপ বন্ধ সহ স্থানীয় প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে পঞ্চগড় জেলা সচেতন আইনজীবিবৃন্দ ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচী পালন করা হয়। দাবি মানা না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁসিয়ারী দেন আন্দোলনকারী নেতারা।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ভুট্টো, এক চাকুরী প্রার্থীর অভিভাবক সামছুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এতে আইনজীবি, চাকুরী প্রার্থী, অভিভাবক সহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ অংশ নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে মেধার ভিত্তিতে স্থানীয়দের নিয়োগ দানের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের বিভিন্ন শুন্য পদে এর আগেও ৩/৪ টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগে পঞ্চগড়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হকের সুপারিশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্য বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের চাকুরী দেওয়া হয়। বাইরের জেলার লোকজন পঞ্চগড়ে চাকুরী হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে বদলি নিয়ে চলে যান। পরে আবারো শুন্য হয় সেসব পদ। ফলে জেলার জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারিক কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জারিকারক, পরিচ্ছন্নকর্মীসহ ২৯টি পদে নিয়োগ প্রদানের কথা বলা হয়। এই নিয়োগে পঞ্চগড়ের মেধাবী প্রার্থীদের মূল্যায়ন করে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানানো হয়।
জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘বিগত যতগুলো নিয়োগ হয়েছে, চুড়ান্তভাবে দূর্নীতি করা হয়েছে। আমি নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে জানতে পারি যে, তারা বলেছেন, আমরা চাকুরী করি, আইনমন্ত্রীর কাছে অসহায়। নিয়োগ কমিটির হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা মানববন্ধন করছি। আমরা আশ্বস্ত করছি যে, আপনারা ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। ইনশাল্লাহ, আপনাদের চাকুরী কেউ খেতে পারবে না। সুপারিশ না মানলে আপনাদের জলপাইগুড়ি বদলি হবে না, দেশেই কোন জেলায় বদলি করা হতে পারে। এবারের নিয়োগে কারো সুপারিশে বাইরের প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করা হলে, প্রয়োজনের উচ্চ আদালতে রিট করার হুঁশিয়ারি দেন আইনজীবি আবু বক্কর ছিদ্দিক।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যালয় চত্বরে একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।