প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৬:০০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
ঝিকরগাছায় প্রথম বারের মতো চাষ হয়েছে সুপার ফুড খ্যাত চিয়া সিড
যশোরের ঝিকরগাছায় প্রথম বারের মতো চাষ হয়েছে সুপার ফুড হিসেবে খ্যাত চিয়া সিডের। এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষক মোঃ সুন্নত আলী পরীক্ষামূলকভাবে চিয়ার চাষ করেন। তার আবাদকৃত চিয়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচে ফলন ভালো হয়েছে সাথে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি। ঝিকরগাছা উপজেলায় প্রায় এক একর জমিতে চিয়া সিডের চাষ হয়েছে।
স্থানীয়পর্যায়ে, দেশের বিভিন্ন দোকান ও অনলাইনে এক কেজি চিয়া সিড ৭০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়। পুরোটাই আমদানিনির্ভর এই বিদেশী ফসলের আবাদ এখন এ দেশের কৃষকদেরকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বলা হচ্ছে, এ দেশে এই ফসলটির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব। ঝিকরগাছা উপজেলায় অনেক কৃষকই আগামীতে চিয়া সিডের চাষ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
কৃষি অফিস আরো জানায়, উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সুন্নত আলী প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে তার ৬৬ শতাংশ জমিতে চিয়া সিডের চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয় এবং ১২০-১৩০ কেজি চিয়া সিড পাওয়া যায়।
কৃষক সুন্নত আলী বলেন, এ বছর ৬৬ শতক জমিতে চিয়ার পরীক্ষামূলক চাষ করেছি। খুব ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর যদি দাম ভালো পাওয়া যায় তাহলে আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে চিয়া সিডের চাষ করবেন বলে জানান তিনি। অনেক কৃষক চিয়া সিড চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সুন্নত আলী আরও বলেন, চিয়া চাষে খরচ খুব কম। বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় না। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে বীজ বপণ করতে হয়। আর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় চিয়া সিড কাটা যায়। চিয়া সিড চাষের সময়কাল হলো ১০০ থেকে ১০৫ দিন। ফসলটিতে তেমন কোনো রোগবালাই হয় না। একবার বালাইনাশক আর একবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেই চলে।
পানিসারা ইউনিয়ন রাজাপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রোকুনুজ্জামান বলেন, কৃষক সুন্নত আলীকে চিয়া সিড চাষে আমরা উদ্বুদ্ধ করেছি। তিনি আমাদের কথা শুনে ৬৬ শতক জমিতে এ বছর প্রথম চিয়ার চাষ শুরু করেন। তার চিয়া সিড খুব ভালো মানের হয়েছে। চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় বর্তমানে অনেক কৃষকই আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। তারা আগামীতে চিয়া সিডের আবাদ করতে চান।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চিয়া সিড পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩।
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সম্পাদক :- সম্পাদক :- নুরে জান্নাত
ঢাকার হওয়া মাল্টিমিডিয়া লিঃ
অফিস:- চৌধুরী মল
(৫ম তলা) ৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, টিকাতলি, ঢাকা ১২০৩।
ই-মেইল - dhakarhawa@gmail.com, cvdhakarhawa@gmail.com, ওয়েব - www.dhakarhawa.com
Copyright © 2024 ঢাকার হাওয়া. All rights reserved.