আলাউদ্দিন বাবুর স্লোয়ার তুলে মারলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু দূরত্ব পেলেন না। ধরা পড়লেন লং অফ সীমানায়।
ওই বলের গন্তব্য তার প্রত্যাশামাফিক না হলেও, ইনিংসে এর আগেই ছক্কার দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তামিম। একইসঙ্গে ঘোচান এবারের বিপিএলে বড় রান না পাওয়ার আক্ষেপ। ছক্কার চেষ্টায় আউট হওয়া ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক এর আগেই মারেন চারটি ছক্কা। যার প্রথমটিতে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন বিপিএলে একশ ছক্কার মাইলফলক। বাংলাদেশের প্রথম ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন টুর্নামেন্টের সবগুলো আসর খেলা বাঁহাতি ওপেনার। মাইলফলক ছোঁয়ার ইনিংসে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে তামিম খেলেছেন ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বুধবার ৪ ছক্কার পাশাপাশি তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭টি চার। চলতি বিপিএলে এটিই তামিমের প্রথম ফিফটি। আগের ম্যাচগুলোতেও শুরু পেয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। আট ম্যাচের চারটিতে খেলেছেন ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস। তিনটিতে ছুঁয়েছেন চল্লিশের ঘর। কিন্তু প্রতিবার ফিফটিতে পা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম। নিজ শহরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে তিনি মিটিয়েছেন সেই আক্ষেপ। এই ইনিংস আরও বড় করার সুযোগ ছিল তামিমের সামনে। আলাউদ্দিনের বলে যখন আউট হন তিনি, তখনও ইনিংসের ছয় ওভারের বেশি বাকি। আউট হওয়ার আগের বলেও বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি। আরেকটু দেখেশুনে খেললে হয়তো তিন অঙ্কেও যেতে পারতেন বরিশাল অধিনায়ক।
তামিমের শুরুটা অবশ্য ছিল বেশ সাবধানী। প্রথম চার ওভারে ১৩ বলে তিনি করেন ৬ রান। পঞ্চম ওভারে আরাফাত সানি আক্রমণে আসতেই যেন চকচক করে ওঠে তামিমের চোখ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে মারেন দুটি করে চার-ছক্কা। ওভারের তৃতীয় বলে স্লগ সুইপে মারা ছক্কায় বিপিএলে একশ ছক্কা পূর্ণ হয় তামিমের। তার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে এই কীর্তি আছে শুধু ক্রিস গেইলের। ৫২ ইনিংসে ক্যারিবিয়ান তারকার ছক্কা ১৩৭টি। তামিমের ৯৭ ইনিংসে ১০৩টি। বিপিএলে ছক্কার তালিকায় তামিমের খুব কাছে মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস। ১০৮ ইনিংসে ইমরুলের ছক্কা ৯৭টি। মুশফিকের ১১৩ ইনিংসে সমান ৯৭টি। এ ছাড়া নব্বইয়ের বেশি ছক্কা আছে কেবল মাহমুদউল্লাহর, ১০৭ ইনিংসে ৯৪টি। আরেক বাঁহাতি স্পিনার শন উইলিয়ামসকে ছক্কা-চার মারেন তামিম। একাদশ ওভারের প্রথম বলে এক রান নিয়ে ৩৪ বলে ক্যারিয়ারের ৪৭তম পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি।
পরে এসএম মেহেরব হাসানের বলে আবার মারেন ছক্কা ও চার। পরের ওভারেই তাকে থামান আলাউদ্দিন। তামিম ছাড়া বরিশালের আর কেউই ত্রিশ ছুঁতে পারেননি। তবে ছোট ছোট অবদান রাখেন আহমেদ শেহজাদ, সৌম্য সরকাররা। শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিওর সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান করে বরিশাল।