সাংবাদিক প্রজাতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ব, জাতির বিবেক। জাতির বিবেকরা যেকোনো সংবাদ প্রকাশ করার পূর্বে তার সত্যতা এবং নিজের কাছে দালিলিক প্রমাণ থাকতে রাখতে হবে । বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা না করে অনেকেই হলুদ সাংবাদিকতা করে থাকে আর্থিক লাভের আশায়। এই অপসাংবাদিকতার জন্য এদেরকে মানুষ ঘৃণা করে, ভয় করে এবং একসময় অতিষ্ঠ হয়ে মারধর ঘরে। বর্তমানে কিছু সাংবাদিক অন্যের লেখা কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়। এরা হলো কপিপেস্ট সাংবাদিক। একজন মিডিয়া কর্মী অন্য একজন মিডিয়া কর্মীর পিছনে লাগা কোনো ক্রমেই ঠিক নয় বরঞ্চ নিউজ সংগ্রহের স্বার্থে সম্পর্ক ভালো থাকা উচিত।
অন্যকোনো প্রফেশনে এই ধরণের রেষারেষি কিংবা সমালোচনা নেই। এরা একজনকে নিজের চেয়ে কমযোগ্যতা সম্পন্ন ও বড় মাপের সাংবাদিক মনে করে।
অনেক মিডিয়া হাউজ শিক্ষাগত যোগ্যতা, সততা এবং কীধরণের নিউজ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ না দিয়েই অর্থের বিনিময় কার্ড দিয়ে মাঠে ছেড়ে দেয়। এরা গ্রামের আনাচে-কানাচে গিয়ে সরকারি কর্মকতা এবং রাজনৈতিক নেতাদের তেলবাজি শুরু করে। একসময় এরা সাংবাদিক না থেকে রাজনৈতিক কর্মী হয়ে যায় ফলে তারা সত্য ঘটনা লিখতে পারে না নেতা বা কর্মকতাকে খুশী রাখার জন্য। সৎ কর্মকতা কিংবা নেতা এদের চুলকানিতে প্রাত্যহিক কাজে এদের উপস্থিতি ভালো চোখে দেখে না ফলে জাতির বিবেকের যে মূল্যায়ন থাকা উচিত সেটা তারা পায় না।
শুধু নেগেটিভ নিউজ করাই সাংবাদিকতা নয়, তাকে সমাজের পজেটিভ নিউগুলো করতে হবে জনগণকে ভালো কাজে উজ্জীবিত করার জন্য। সংবাদকর্মীদের উচিত সমাজের অসংগতি তুলে ধরা যা দেখে সরকারি কর্মকতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সঠিক কাজ করতে পারে।
সঠিক পথে, সদা জাগ্রত থাকুক জাতির বিবেক।
লায়ন সোবহান হাওলাদার
যুগ্ম মহাসচিব, জেএসএস।