রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় কুপিয়ে স্ত্রী লিপি খাতুন (৩২) কে হত্যার দায়ে স্বামী মিনার সরদার রুবেল(৪৫) কে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ এর বিচারক জান্নাতুন লিলিফা আক্তার জাহান এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামি মিনার সরদার রুবেল উপস্থিত ছিলেন পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্যানেল কোড ১৮৬০ এর ৩০২ ধারা অনুযায়ী এ রায় প্রদান করা হয়। মিনার সরদার রুবেল জেলার পাংশা উপজেলার উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের মোঃ আকুল সরদারের ছেলে। রায়ের সময় তিন নাতীকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন নিহত লিপির বাবা মামলার বাদী এলেম শেখ। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। মামলা সুত্রে জানাগেছে, রুবেল মাছের ব্যবসা করতেন। এক পর্যায়ে বেকার হয়ে পড়ে নেশা শুরু করেন। প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া করতো। তার স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ি উপজেলার সাজুরিয়া চলে যান। ঘটনার তিন দিন আগে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসেন রুবেল। পারিবারিক কলহের জেরে সকালে দুজনের আবার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারী সকাল ৮ টার সময় পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে গৃহবধূ লিপি খাতুন (৩২) কে কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত স্বামী রুবেল সরদারকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করে। রুবেল-লিপি দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় লিপির পিতা এলেম আলী শেখ বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেন। পাংশা থানার মামলা নং- ২৮। এরপর পাংশা থানা পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করাসহ রুবেলকে আদালতে সোপর্দ করে। রুবেল আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর থেকে সে কারাগারেই রয়েছে।
রাজবাড়ী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. উজির আলী শেখ বলেন, স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে রুবেল সরদারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ রায়ে রাষ্ট্র পক্ষ, বাদীপক্ষ সন্তষ্ট। আমি মনে করি এ রায়ে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল হবে।