আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সারাদেশে ছয়টি এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আগামী শনিবার বৃষ্টি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,তবে বৃষ্টির পর শীতের অনুভূতি আবার তীব্র হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা ও বরিশালের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমবে; বরিশাল ও চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এটি মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। তবে বৃষ্টির কারণে দেশে শীতের অনুভূতি অনেকটাই কমে যাবে। দেশের বেশির ভাগ স্থানে দিনের বেলায়ও কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। ফলে সূর্যের তাপও কমে আসছে। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রায় পার্থক্য কমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। অর্থাৎ যেখানে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে, সেখানে ১০ ডিগ্রির শীত অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে আকাশ পরিষ্কার হয়ে আসবে। বৃষ্টি শেষে দিনে সূর্যের তাপ পাওয়া যাবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় ব্যবধান বাড়বে।
সব মিলিয়ে শীতের অনুভূতি কমবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত মঙ্গলবার থেকে দেশের চারটি অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করেছে। বৃষ্টিপাত শুরু হলে শৈত্যপ্রবাহ বন্ধ হতে পারে। তবে বৃষ্টিপাতের ধারাবাহিকতা শেষ হলে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা আবারও কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল ছয়টি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। জেলা ছয়টি হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, বান্দরবান, মৌলভীবাজার (শ্রীমঙ্গল), পাবনা (ঈশ্বরদী) ও চট্টগ্রাম (সীতাকুন্ড)।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ৯.৪ ডিগ্রি। এ ছাড়া ঈশ্বরদী, শ্রীমঙ্গল, সীতাকু-, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে। দেশের অন্যত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।