টি-২০ ক্রিকেটের আসল মজাটা হলো টানটান উত্তেজনা। ছোট দল বড় দলের পার্থক্য কমে যাওয়া।
বুধবার রাতে তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেছে। ভারতের মাঠে দুর্দান্ত লড়াই করেছে আফগানিস্তান। পাল্লা দিয়ে রানের ফুয়ারা ছুটিয়েছে। আবার ম্যাচে দু’বার করে সুপার ওভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। তবে প্রথম সুপার ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট ‘আউট’ হওয়া রোহিত শর্মা পরে আবার ব্যাটিং করার বিতর্ক সৃস্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুর এম চিনেস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৪ উইকেটে ২১২ রান তোলে। ওপেনার জশস্বী জয়সাওয়াল ৪, তিনে নামা কোহলি গোল্ডেন ডাক মারেন। চারে নামা শিভাম দুবে ১ রান করে ফিরে যান। সানজু স্যামসনও গোল্ডেন ডাক মারেন।
ভারত ২২ রানে হারায় ৪ উইকেট। পরে দলটির আর কোন উইকেট পড়েননি। ওপেনার রোহিত শর্মা এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে খেলেন ৬৯ বলে ১২১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১১টি চারের সঙ্গে আটটি ছক্কার শট আসে। এ ছাড়া তরুণ ব্যাটার রিংকু সিং ৩৯ বলে ৬৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি ছয়টি ছক্কা ও তিনটি চারের শট নেন। জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের ফিফটিতে জয়ের আশা দেখছিল। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি চার ও চারটি ছক্কা আসে। অন্য ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান উইকেট ধরে রেখে ৪১ বলে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। তিনি চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। সেরা ইনিংসটা খেলেছেন তিনে নামা অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাঈব। তিনি ২৩ বল খেলে ৫৫ রানের ঝড় দেখান। চারটি করে চার ও ছক্কা তোলেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ নবী ১৬ বলে ৩২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনটি ছক্কা ও দুটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের শেষ ৫ ওভারে ৬৭ রান দরকার ছিল। নবী ও গুলবাদিনের ঝড়ে এক রান কম করে আটকে যায় তারা।
এর মধ্যে কুমেশ কুমারের শেষ ওভারে ১৮ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করে আফগানরা। প্রথম সুপার ওভারে আফগানরা ১৬ রান তোলে। জবাবে রোহিত তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা মারলেও শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। দৌড়ে রান নিতে অসুবিধার কারণে রোহিত রিটায়ার্ড হার্ট ‘আউট’ হন। কিন্তু শেষ বল থেকে এক রানের বেশি ভারত নিতে না পারায় ম্যাচ দ্বিতীয়বার সুপার ওভারে যায়। দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১১ রান করে। রোহিত একটা চার ছক্কা মারলেও চতুর্থ বলে তিনি আউট হন, পঞ্চম বলে রান আউট হন সানজু। তবে ভারতের তরুণ লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয়ের বলে আফগানিস্তান ৩ বলের মধ্যে মাত্র ১ রান তুলে ২ উইকেট হারালে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। হারের পর বিতর্ক শুরু হয়েছে রোহিত শর্মার দ্বিতীয় সুপার ওভারে ব্যাটিং নিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী, সুপার ওভারে কোন ব্যাটার একবার আউট হলে তিনি দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করতে পারবেন না। ওই হিসেবে রোহিত শর্মা রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
কারণ ক্রিজ ছাড়ার সময় তিনি অসুস্থ বা ইনজুরি ছিলেন না। তবে তার রিটায়ার্ড আউট নিয়ে আফগানিস্তান দলের কেউ বা ম্যাচ অফিসিয়ালরা অবগত ছিলেন না।