দেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় নামী তিন অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে অনলাইনে জুয়ার ওয়েবসাইটের সঙ্গে।
তিন অভিনেত্রী হলেন- জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস ও নুসরাত ফারিয়া। দেশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এসব সাইটের বিজ্ঞাপনে দেখা মিলেছে তাদের। পাশাপাশি শুভেচ্ছাদূতও হয়েছেন কেউ। বিশেষ করে জয়া ও নুসরাত ফারিয়াকে শুধু বিজ্ঞাপনে দেখা গেলেও অপু বিশ্বাস হয়েছেন শুভেচ্ছাদূত। যদিও বিষয়গুলো নিয়ে এখন তাদের দাবি, ভুল তথ্যে এসব জুয়ার অ্যাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।
একটি বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপনে কাজ করতে দেখা গেছে জয়া আহসান ও নুসরাত ফারিয়াকে। গত বছর ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে প্রচারে আসে তাদের বিজ্ঞাপনগুলো। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয় তিন তারকার সঙ্গে। এদের মধ্যে কেবল নুসরাত ফারিয়াকেই পাওয়া গেছে। জয়া আহসান ও অপু বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি। জুয়ার অ্যাপে বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে নুসরাত ফারিয়া বলেন, আমি যে বিজ্ঞাপনটি করেছি, তা শুধু ভারতেই প্রচার হয়েছে। দেশে প্রচার হয়নি। দেশে প্রচার না হলেও, বিষয়টি কি ভারতে বৈধতা কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। জানালেন, বিষয়টি পুরোপুরি না জেনে এতে যুক্ত হয়েছেন। শুধু সেই সাইটেই নয়, ফারিয়া নিজেও তার ইনস্টাগ্রামে এগুলোর প্রচারণা করেছেন। গত আগস্টে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংবাদমাধ্যম, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মধ্যস্থতাকারী ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অবিলম্বে জুয়ার ওপর বিজ্ঞাপন/ প্রচারমূলক বিষয় দেখানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এই পরামর্শ মেনে চলা ব্যতীত ভারত সরকার বিভিন্ন আইনের আওতায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছে। ভারতেও জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে- এমনটা জানালে ফারিয়া বলেন, আমাদের দেশে এ ধরনের বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ভারতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে আমার জানা নেই। একই বিষয়ে কথা বলতে অভিনেত্রী জয়া আহসানের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি। অন্যদিকে, অপু বিশ্বাস শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন ‘বাবু ৮৮’ নামের একটি বেটিং অ্যাপের। নতুন বছরের শুরুতেই নায়িকার একটি একটি ভিভিও শুভেচ্ছাবার্তা পোস্ট করেছে ওই সাইটটি। যেখানে অপু বিশ্বাসকে তাদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গত মঙ্গলবার বিকেলে ফোনকল দেওয়া হয় অপু বিশ্বাসকে। ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোনকলটি কেটে দিলেও এরপর আর ফোন ধরেননি তিনি।