আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে কটাক্ষ করে বলেছেন: আপনার ছেলে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার চেয়ে একধাপ এগিয়ে। এমন লম্পটের কথা শুনে কেন বিএনপি নেতারা দেশে মানুষ হত্যা করছে? এটা তার কাছে আমার প্রশ্ন। লন্ডনে আদালতের রায়ে তিনি খালাস পান। দেশেই তাদের শাস্তি হবে।
গত শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না, কেন আমেরিকা আমার বাবার খুনি রাশেদকে আর কানাডা খুনি নুরকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে, ওই খুনিদের ধরে এনে বিচারের রায় আমরা কার্যকর করবো।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে সে লন্ডনে বসে হুকুম দিয়ে দেশে মানুষ হত্যা করছে। রেলগাড়ি পোড়ায়, বাস পোড়ায়, মানুষ খুন করে, আমাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করেছে। কাজেই জিয়াউর রহমান যেমন খুনি, জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া- সেও আরেক খুনি। সেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে ও নানাভাবে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আর তার ছেলে আরেক ধাপ ওপরে। সে লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর এখানে বাসে আগুন দেওয়া হয়। যারা এসব অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, যারা ওই তারেকের মতো একটা খুনি, যে চোরাকারবারি ও অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গ জড়িত, যে টাকা আত্মসাৎকারী আর লন্ডনে বসে জুয়া খেলে টাকা বানায়, ওই জুয়াড়ির কথায় যারা মানুষ খুন করে তাদেরকে তো দায় নিতেই হবে। ওই ধরনের একটা লম্পটের কথা শুনে এই বিএনপি নেতারা কেন বাসে আগুন দেয় আর মানুষ মারে? এটাই তাদের কাছে আমার প্রশ্ন। এতে তাদের কী লাভ? শাস্তি তো এরা পাবে। বিচার তো পার্থিব জগতেও হবে আবার মানুষ হত্যার দায়ে আল্লাহর কাছেও হবে। এটা তারা কেন করছে, এটাই তাদের কাছে আমার প্রশ্ন।
জনসভায় নিজের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামূুখী উন্নয়ন কাজের বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়েছি।’ দেশের উন্নয়নগুলো আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। জনসভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। টুঙ্গিপাড়া প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনি এলাকা।