ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি বেছে নেবে। যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করে বাংলাদেশের আইনে তার বিচার অবশ্যই হবে। আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, যে বাংলাদেশকে মিসকিন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সেই বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ৭ জানুয়ারি ভোটের প্রয়োজন। কিন্তু যখনই ভোট হয় তখনই বিএনপি-জামায়াত ভোট থেকে সরে যায়। কারণ তারা দেশের মানুষের উন্নয়ন ও সুখ-শান্তি চায় না। আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দারিদ্র্য কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। তখন সাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের এরকম উন্নয়ন হলে ক্ষতি হবে। কারণ বাংলাদেশ বিদেশ থেকে ভিক্ষা পাবে না। সাহায্য পাবে না। এই ছিল তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। এখন বিএনপি-জামায়াত এই নির্বাচনকে ভ-ুল করার জন্য সারা বিশ্বে এখন টাকা ছড়াচ্ছে।
আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০০২ সালে বিএনপির অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ক্ষমতায় এসেই বলে দেশের গ্যাস বিক্রি করে দেবেন। তখন বলা হল গ্যাস বিক্রি করতে পারবেন না। তখন তিনি বললেন, মাটির তলায় সেটা থেকে লাভ কী? এটা বিক্রি করে দিলে ভালো। অথচ আজকে সেই গ্যাস দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বিএনপি-জামায়াত যদি গ্যাস বিক্রি করতে পারতো, তাহলে তাদের পকেট ভারী হতো। আর লন্ডন শহরে বাড়ি হতো। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন এক বিদেশি সাংবাদিক চিঠি লিখছে, কারা নির্যাতিত হয়েছিলেন বা হয়েছে এসব বিষয় নিয়ে। যখন জিয়াউর রহমান ঘর থেকে ধরে ধরে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করছিল, তখন এই সাহেবরা কোথায় ছিলেন? এই সাহেবরা তো তখন তাদেরকে চিঠি লেখেননি। আজকে পয়সার বিনিময়ে বিদেশ সাংবাদিকেরা খালি চিঠি লিখছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লুটপাটকারীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে। মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের সঙ্গে পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের ভবিষৎ নিয়ে কাউকেও, কোনো রাজনৈতিক দলকে বা অন্য কেউ যদি হয় তাকে ছিনিমিনি করতে দেয়া হবে না। আনিসুল হক বলেন, আমি বলতে চাই, যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করে- বাংলাদেশের আইনে তার বিচার অবশ্যই হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি বলেন, এখন আমাদের দেশে আর মিসকিন নেই।
আমাদের দেশে আর ভিক্ষুক নেই। শেখ হাসিনা আজকে আমাদেরকে মর্যাদা দিয়েছেন। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়বো।’ সভায় উপস্থিত ছিলেন- কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়ছার ভূঁইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এম জে হাক্কানী, রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, কাজী আজহারুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক মিয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।