নোভাক জোকোভিচের বর্ণীল সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি সোনালী পালক।
বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে আরো একবার শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা হলেন সার্বিয়ান তারকা। তুরিনে লোকাল হিরো ইয়ান্নিক সিন্নারকে হতাশায় ডুবিয়ে জিতলেন এটিপি ফাইনালসের শিরোপা! মর্যাদার এই টেনিস আসরে এ নিয়ে জোকোভিচ শিরোপা জিতলেন সপ্তমবার। তাতে গড়লেন আরেক অনন্য কীর্তি। এটিপি ফাইনালে সর্বোচ্চ শিরোপার মালিক এখন সার্বিয়ান তারকাই। ছয় শিরোপা নিয়ে এতোদিন রেকর্ডটা তিনি ভাগাভাগি করছিলেন রজার ফেদেরারের সঙ্গে। এবারের জয়ে সুইস কিংবদন্তিকে পেছনে ফেলে এটিপি ফাইনালসের সর্বোচ্চ শিরোপায় এককভাবে চুড়ায় বসলেন জোকোভিচ। ২০০৮ সালে প্রথমবার এই টুর্নামেন্টের ট্রফিতে চুমু এঁকেছিলেন তিনি। এরপর ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫-টানা জেতেন চারবার। ষষ্ঠ শিরোপা জিততে অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে সাতবছর।
২০২২ সালে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পর এবারও ধরে রাখলেন তিনি। রজার ফেদেরার ও জোকোভিচের বাইরে বছর শেষের এই আসরে পাঁচটি করে শিরোপা জিতেছেন যুক্তরাস্ট্রের কিংবদন্তী পিট সাম্প্রাস এবং চেক প্রজাতন্ত্রের ইভান ল্যান্ডল। পুরুষদের টেনিসের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লামের কীর্তিও জোকোভিচের। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক জোকোভিচ। রূপকথার পথচলায় এটিপি ফাইনালসেও শিরোপা সংখ্যায় তিনি পেছনে ফেললেন সবাইকে। রেকর্ড গড়ার পথে তুরিনের ফাইনালে সিন্নারকে স্রফে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছেন জোকোভিচ। একতরফা লড়াইয়ে সার্বিয়ান তারকা ম্যাচ জেতেন সরাসরি ৬-৪, ৬-৪ গেমে। গতবছর শিরোপা জিতেছিলেন জোকোভিচই। এনিয়ে ১০০০ মাস্টার্স সিরিজে ৪০তম ট্রফি জিতলেন তিনি। স্বপ্নের মতো কাটানো বছরের শেষটাও স্বপ্নীল হলো জোকোভিচের।
এই ছত্রিশেই জিতছেন একের পর এক ট্রফি। আর টেনিসের সব রেকর্ড লুটিয়ে পড়ছে তাঁর পদতলে। চলতি বছরেই তো গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন তিনি তিনবার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, ইউএস ওপেন জয়ের পাশাপাশি তিনি ফাইনাল খেলেছেন উইম্বলডনেও। এটিপি ফাইনালসে সপ্তম শিরোপা জয়ের পর উচ্ছ্সিত জোকোভিচ বলছিলেন,‘ খুব বিশেষ অর্জন। নি:সন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটি মৌসুম কাটালাম। ঘরের ছেলে ইয়ান্নিকে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করতে পারা দারুণ অনুভুতি। গত দুই দিনের পারফরম্যান্সে আমি খুব গর্বিত। টেনিসের কোর্টে র্যাকেট হাতে এভাবে একের পর এক কীর্তি গড়ার পর গর্ব তো করবেনই জোকোভিচ। এএফপি