সৌদি আরবের কাছে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অঘটনের শিকার হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
ওই তিক্ত পরাজয়ের পর থেকে চলছিল জয়রথ। সেই পথ ধরে গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সকে ফাইনালে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়েও দুর্দান্ত রূপে আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু শুক্রবার তাদের সাফল্যে ছেদ পড়লো। তিন তারকার জার্সিতে প্রথম পরাজয় বরণ করলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ২-০ গোলে জিতলো তাদের মাটিতে। আগের ম্যাচে উরুগুয়ে ব্রাজিলকেও ২-০ গোলে হারায়। আর ছয়টা দিন পার হলে পুরো একটা বছর অপরাজিত থাকার স্বাদ পেতো আর্জেন্টিনা। কিন্তু ভুলে যাওয়া হারের স্বাদ পেতে হলো ঘরের মাঠে। ম্যাক্সি আরাউজো ও ডারউইন নুনেজের গোলে আর্জেন্টিনার ১৪ ম্যাচের জয়যাত্রার অবসান হলো।
সপ্তাহখানেক আগে লিওনেল মেসি অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতেন। সেই অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে লা বোম্বোনেরায় তাকে বিশেষ সম্মাননা জানায় আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। হাততালি দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান দর্শক-সমর্থকরা। কিন্তু ঘরের মাঠে হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হলো তাদের। আর্জেন্টিনা পুরো ৯০ মিনিটে মাত্র তিনটি শট গোলে রাখতে পেরেছিল। অন্যদিকে উরুগুয়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে তাদের জাল কাঁপায়। ৪১ মিনিটে মাতিয়াস ভিনার ক্রসে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আরাউজো। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল জয়ের ৮ ম্যাচ পর প্রথমবার আর্জেন্টিনার জালে জড়ায় বল। ৫৭ মিনিটে মেসির বাঁ পায়ের ফ্রি কিক ক্রসবারের উপরের দিকে লাগে। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ডে লা ক্রুজের ডিফেন্স চেড়া পাস ধরে এমিলিয়ান মার্তিনেজকে পরাস্ত করেন নুনেজ।
আগামী বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিশ্চিতভাবে বড় ধাক্কা খেলো আর্জেন্টিনা। যদিও এই হারে তাদের বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে মেসিরা। আর্জেন্টিনার মাঠে প্রথমবার জিতলো উরুগুয়ে, তাতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেলো তারা।