দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এক তরুণীকে (১৮) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধর্ষনের ওই ঘটনা ঘটেছে উপজেলা শহরের তেলীপুকুর এলাকায়। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুনীকে উদ্ধার করেছে স্হানীয় থানা পুলিশ। এঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে বড় বোন।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ভর্তি ভুক্তভোগী তরুণী জানিয়েছে, গেল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চিরিরবন্দরের ঘুঘরাতলীতে জনৈক মোবিন এবং মাস্ক পরা তিনজনসহ ৫ যুবক তার সঙ্গে থাকা পুরুষ সঙ্গীর পরিচয়সহ তাদের গন্তব্য জানতে চায়। প্রেম ঘটিত কারনে তারা অন্যত্র পালিয়ে বিয়ে করতে ঘর ছেড়েছে জানতে পেরে তরুনীসহ তার সঙ্গীকে নিজেদের কথা মত স্হানে যেতে পিড়াপিড়ি শুরু করে তারা।
এসময় হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে জোর করে একটি ভ্যানে তুলে নির্মাণাধীন ভবন এলাকায় নিয়ে যায় ওই ৫ যুবক। তার পুরুষ সঙ্গীকে আড়ালে আটকে রেখে তরুণীকে সঙ্গবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তারা। পরে তরুনীকে ধানখেতে ফেলে রেখে সটকে পড়ে ধর্ষনকারিরা। উদ্ধার পেয়ে জরুরী সেবা কেন্দ্র ৯৯৯এ ফোন করলে চিরিরবন্দর থানার পুলিশ ঘটনাস্হল থেকে উভয়কে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, সঙ্গে থাকা পুরুষ সঙ্গীর (২৪) সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ধর্ষনের শিকার তরুনীর (১৮)। ঘর বাধার স্বপ্ন পুরন করতে পঞ্চগড় থেকে চিরিরবন্দরে তরুনীর বাড়ীতে এসেছিল তার পুরুষ সঙ্গী। কিন্তু পরিবার সম্মত না হওয়ায় প্রেমিকের সাথে ঘর বাধার স্বপ্নে রাতে ট্রেন ধরতে চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে অপেক্ষা করেছিল তারা। ট্রেন না ঘুঘরাতলী মোড়ে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিল তারা। এসময় জোর করে নিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করা হয় তরুনীকে।
এদিকে অভিযুক্ত মোবিন আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির একজন নেতার গাড়ি চালকের ছোট ভাই। চিরিরবন্দর থানার ইনচার্জ বজলুর রশিদ জানান, সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জরুরী সেবা কেন্দ্র ৯৯৯ –এ ফোন কোল পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তরুনীকে উদ্ধার করেছেন তারা।
পরে তাকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্হ হলে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। ছোট বোনকে ধর্ষনের ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে চিরিরবন্দর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন বড় বোন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।