বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সহ উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে দমকা হাওয়া ও টানা বর্ষণ শুরু হয়েছে। মানুষ আতঙ্কে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে রাস্তা ঘাট প্রায় জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট হচ্ছে।
টানা বর্ষণ ও দমকা হওয়ার ফলে ফসলের মাঠের আমন ধান মাটির সাথে শুয়ে গেছে এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাউখালী সহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীগুলোতে তিন চার ফুট পানি বৃদ্ধি হাওয়ায় নিম্নচল প্লাবিত হয়েছে। ফলে শীতকালীন সবজির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমানের জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি মাধ্যমে জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে চার লাখ ১০ হাজার টাকা, ৪৬ বান্ডিল টিন, ৪১২ মেট্রিকটন চাল এবং পাঁচ হাজার ৬০০ কম্বল রয়েছে। নদীবেষ্টিত পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসন যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১২টি সাইক্লোন সেন্টার কাম প্রাইমারি, ১৬টি দ্বিতল প্রাইমারি, ১৭টি মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রেখেছেন। ঘূর্ণিঝড়টি দিনের বেলায় আঘাত হানায় আশ্রয় কেন্দ্রে কোন লোকজন আশ্রয় গ্রহণ করেননি।