1. admin@dhakarhawa.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন

জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি ->>
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৮৯ বার পঠিত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে জ্বালাও-পোড়াও চালাচ্ছে।

তাদের এই কর্মকান্ড-কে কেউ সমর্থন করতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে সবাই মিলে সোচ্চার হলে আমি মনে করি, এগুলো বন্ধ হবে। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক মীযানুর রহমান গ্রন্থিত ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও, প্রাণহানি, সম্পদ নষ্ট নিয়ে জাতিসংঘ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষা ছিল এমন, এটা তাদের(বিএনপি) করার অধিকার আছে। দাবি আদায়ের অধিকার হিসেবে জাতিসংঘ এটিকে অভিহিত করছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত, জ্বালাও-পোড়াওয়ের অধিকার আছে বলে জাতিসংঘ বলেছে, এটা আমি মনে করি না। জাতিসংঘ এটা বলেনি। আন্দোলন করার অধিকার আছে। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। সেই অধিকার সবার আছে। কিন্তু সেটা মানে এই নয় যে গাড়িঘোড়া পোড়ানো। এটিকে কেউ সমর্থন করেনি। তিনি বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনেক সদস্য তাদের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। আরও অনেকে বিদেশ থেকে নিন্দা জানিয়েছে। বিএনপি নানাভাবে অনেককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের এই কর্মকা- কেউ সমর্থন করেনি, করতে পারে না। এ সময়ে মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দরের কারণে সামুদ্রিক বাণিজ্যের দুয়ার ও সম্ভাবনা খুলে গেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর হবে।

এটি ছোটোবেলা থেকে শুনে এসেছি, হয়নি। এবার সত্যিকার অর্থে গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়িতে হয়েছে। এটি আমাদের সামুদ্রিক বাণিজ্যের বিশাল দুয়ার খুলে দিয়েছে। সেখানকার পুরো এলাকা বদলে গেছে। কক্সবাজার শহর বদলে গেছে। এভাবে দেশের প্রতিটি শহর ও গ্রাম বদলে গেছে। মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরেরই একটি অংশ। গতকালকের অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দরের আয়োজনেই হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এই উন্নয়ন করে যাচ্ছেন, তখন দেশ ধ্বংসের জন্য পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে জনগণের ওপর। তারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পান না। এই ধ্বংস ও পেট্রোল বোমার বিরুদ্ধে সবাই মিলে সোচ্চার হলে আমি মনে করি, এগুলো বন্ধ হবে। তিনি বলেন, অবরোধের নামে আগের রাত থেকে গাড়িঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে। আজ অবরোধ ডাকলে, গতকালই শুরু হয় গাড়িঘোড়া পোড়ানো। মানুষ ভেবেছিল, যেহেতু আগামী কাল অবরোধ, সেহেতু আজ গাড়িঘোড়ার ওপর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালাবে না। কিন্তু গতকাল থেকেই তা শুরু হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি এটি হতে পারে না। এগুলোকে শুধু সন্ত্রাসী কর্মকা- বললে কম হবে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে।

একটি গাড়ি পোড়ানো মানে একটি পরিবারকে পুড়িয়ে দেয়। একটি পরিবারের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিয়ে তাদের স্বপ্নকে পথে বসানো। যারা রাজনীতি করেন, তারা এ কাজ করতে পারেন না। হ্যাঁ, তারা রাস্তায় নেমে এসে ব্যারিকেড দিক, মানুষকে বলুক-আমরা অবরোধ ডেকেছি, আপনারা পালন করুন। সেটি তো তারা করে না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটেছে; আগামীতে কত বছর কাটবে জানিনা। তিনি বলেন, বিএনপি উদ্দেশ্য তো স্পষ্ট। তারা দেশের গণতন্ত্রকে নসাৎ করতে চায়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া যে কোন রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই। যদি কেউ নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানেই দেশবিরোধী কথা বলা। যারা দেশবিরোধী-গণন্ত্রবিরোধী বক্তব্য রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সরকার, জনগণ এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের যাত্রাকে অব্যহত রাখা। মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপির যে বলে তাদের এত জনপ্রিয়তা সেটি তারা যাচাই করুক। তাদের এত উদ্যামী নেতা তারা ২০ মিনিটে ময়দান ছেড়ে চলে গেছে। তারা কতটুকু মাঠে নামে আমরা একটু দেখি। তাদের এত জাঁদরেল নেতা আছে যারা আওয়াজ শুনেই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেছে। কোনো গুলি হয় নাই, কোনো টিয়ার গ্যাসও ছোঁড়া হয়নি। তারা নির্বাচনে আসুক। এসে দেখুক তাদের কতটুকু জনপ্রিয়তা। কর্মীরা কতটুকু নামে। এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে আমরা চাই তাদের সাথে নির্বাচন করতে।

বিএনপিকে ছাড়াই কি তাহলে নির্বাচন করবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের অপেক্ষা তো আমরা করতে পারিনা। নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে একটা শিডিউল থাকবে। সেই শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সেই শিডিউলে তারা নির্বাচনে আসলে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে। আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি না আসে তাহলে দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, কোন একটি দল না আসলেও তো আরও অনেক দল থাকবে। দেশের জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তারা তো সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আসেনি। সে নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো। সে নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিলো।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা