গত ১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার আওতাধীন নানা অনিয়মের কারণে চট্টগ্রামের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন নির্দেশনার ১২ দিন পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি শেভরণের বিরুদ্ধে। উল্টো ‘ভুল শোধরাতে’ তাদের আরও সাতদিন সময় দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন। এজন্য এখনও কার্যক্রম চালু আছে প্রতিষ্ঠানটির।
তবে শেভরণের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী। তিনি জানান, লাইসেন্স স্থগিত করার চিঠিটি শেভরণ কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে। শেভরণের লাইসেন্স স্থগিত করা হলেও তারা কার্যক্রম চালাতে পারবে। কারণ সেখানে অনেক বড় বড় চিকিৎসক রোগী দেখেন। তাদের অনিয়মগুলো সমাধান করলে বা সপক্ষে প্রমাণ দিতে পারলে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে।
শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করলে দেখা যায়, চিকিৎসক মারা যাওয়ার ৮ বছর পরও সেই চিকিৎসকের নামে রিপোর্ট দিয়েছে শেভরণ। এছাড়াও বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা আদায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট (স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যবহৃত রাসায়নিক মিশ্রণ) ব্যবহারের মতো ভয়াবহ অভিযোগও রয়েছে শেভরণের বিরুদ্ধে।
একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।