বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অপরদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহা তামাশা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন রিজভী।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বন্ধ করে রাখা বিএনপির কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি পাঠানোকে আরেকটি তামাশা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আসলে সরকার নিজেদের অতি চালাক ভাবছে এবং সব কিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাতে এটি সুস্পষ্ট যে আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু এবার আওয়ামী সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরো বলীয়ান হচ্ছে।রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।
বিবৃতিতে শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। শনিবার ঢাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, গভীর রাতে ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া রোববার ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করেছে র্যাব।