নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
জনগণকে ভয় দেখাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। তাই বিএনপির অন্যতম শীর্ষ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আজ (রোববার) সকালে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মির্জা ফখরুল ইসলাম ৭৫ বছর বয়স্ক এবং গুরুতর অসুস্থ। তার মতো একজন নেতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ তিনি বলেন, ‘জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতেই বিএনপি নেতাদের আটক করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। গ্রেপ্তার নিপীড়ন করে, নেতা-কর্মীদের হত্যা করে এবার আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, গতকাল (শনিবার) বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, গুলি, গুলি করে হত্যাসহ যত নাশকতা হয়েছে সব করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এর দায় দায়িত্বও তাদের। মির্জা ফখরুল ইসলামকে আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। রোববার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন।
একই সঙ্গে সড়কে দাঁড়িয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই তারা দ্রুত সড়ে যান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের জিকু ও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, আমরা শুনেছি রুহুল কবির রিজভী এসেছিলেন। বিস্তারিত বলতে পারছি না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।