স্পোর্টস ডেস্ক ->>
রয়েসয়ে পাঁচ ওভার কাটিয়ে দেওয়ার পর মোহাম্মদ সিরাজের ওভারে জোড়া চার মারলেন লিটন দাস। জাসপ্রিত বুমরাহর পরের ওভারে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কায় ওড়ালেন তানজিদ হাসান।
শুরুর জড়তা কাটিয়ে শুরু হলো ছুটে চলার, দুই ওপেনারের জোট থামল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়ে। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেছেন লিটন, তানজিদ। ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেন। ম্যাচটি ৬২ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এরপর বৈশ্বিক আসরে খেলা ৩৮ ম্যাচে ছয়বার পঞ্চাশ ছাড়ায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। তবে কোনোটিই টপকাতে পারেনি মেহরাব, শাহরিয়ারের ২৪ বছর আগে গড়া ওই রেকর্ড। বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারে স্রফে ১০ রান করে বাংলাদেশ। পরে সিরাজ, বুমরাহর ওভারে বাউন্ডারি মেরে রানের চাকায় দম দেন লিটন, তানজিদ। ষষ্ঠ ওভারে লিটনের পর অষ্টম ওভারে সিরাজকে জোড়া চার মারেন তানজিদ। পরের ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে লিটন মারেন পরপর দুই চার। শার্দুল ঠাকুরের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ঝড় তোলেন তানজিদ। ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কার পর মিড অনের ওপর দিয়ে বল পাঠান সীমানায়। পরের বলে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে দৃষ্টিনন্দন ছক্কা মারেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার।
তিনি পৌঁছে যান চল্লিশের ঘরে। ছয় ম্যাচ পর কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে আসে ৬৩ রান। উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ রানের দেখাও মেলে ছয় ম্যাচ পরই। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে ৫৫ রান এসেছিল নাইম শেখ-মেহেদী হাসান মিরাজ জুটিতে। চতুর্দশ ওভারে শার্দুলকে বাউন্ডারি মেরে ৪৯ রানে পৌঁছান তানজিদ।
পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন বিশ্বকাপ ও নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি। এরপর অবশ্য টিকতে পারেননি তিনি। কুলদিপ ইয়াদাভের করা পরের ওভারের চতুর্থ বলে সুইপ করতে গিয়ে ২২ বছর বয়সী তানজিদ এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে জুটি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৩ বলে ৫১ রান করেন তিনি। তখন ৩৯ রানে ছিলেন লিটন।