বিনোদন রিপোর্ট ->>
বলতে গেলে, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাটি মুক্তি পেলো।
শুক্রবার থেকে দেশের প্রায় সবগুলো প্রেক্ষাগৃহেই চলছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ নামের ছবিটি। যেখানে মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটবেলা থেকে দেশ স্বাধীন এবং মৃত্যু অব্দি প্রেক্ষাপট তুলে আনা হয়েছে। ইতিহাসের এই চিত্রায়ন ইতোমধ্যে যারা দেখেছেন, তাদের মুখেই প্রশংসার বুলি।
আঁচ করা যায়, ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল নির্মাণে খামতি রাখেননি। গেলো বৃহস্পতিবার সকালে এবং সন্ধ্যায় দুটি প্রিমিয়ার করা হয় ‘মুজিব’ সিনেমার। প্রথমটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য, দ্বিতীয়টি গণমাধ্যমকর্মী ও বিনোদন অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর শো-তে হাজির ছিলেন ‘মুজিব’র শিল্পীরাও। এই ছবিতে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া। ফলে তার মনে উচ্ছ্বাস ছিল কিঞ্চিৎ বেশি। সেই সময়টা নিয়ে ফারিয়া বললেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিনেমাটা দেখার সুযোগ হয়েছে। আমি যেখান থেকে দেখছিলাম, তার ঠিক পেছনেই প্রধানমন্ত্রী বসে ছিলেন।
তো যে মুহূর্তেই আমি পর্দায় আসছিলাম, চুপিসারে পেছনে তাকিয়ে তাকে দেখছিলাম, তার কী এক্সপ্রেশন। সিনেমা শেষে যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমি কি করতে পেরেছি? তিনি সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বলেছেন, তুমি খুব ভালো কাজ করেছো। অনেক মিষ্টি লেগেছে। এটা শুনে কেমন লেগেছে, বোঝাতে পারবো না। আমি আপ্লুত। শেখ হাসিনার ভূমিকায় কাজ করতে গিয়ে তার সম্পর্কে বিস্তরভাবে জেনেছেন নুসরাত ফারিয়া। সেই সুবাদেই বললেন, এই সিনেমার একটা অংশ হতে পারাই আমার জীবনের অন্যতম বড় অর্জন। বিশেষ করে আমাকে যে চরিত্রটা দেওয়া হয়েছে, আমি মনে করি আমি অনেক ভাগ্যবান।
পরে কী হবে জানি না, তবে এর আগে তার (শেখ হাসিনা) চরিত্র কখনও কেউ পর্দায় করেনি। কাজ করার সময় আমার মনে হয়েছিল, আমাদের প্রত্যেকটা বাঙালি মেয়ের মধ্যে একটা করে হাসিনা রয়েছে। তার সরলতা, তার মিষ্টিভাব, তার ইনোসেন্স, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, সব কিছু মিলিয়ে প্রত্যেকটা বাঙালি মেয়ের মধ্যেই একটা করে হাসিনা রয়েছে। অন্যদিকে ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আরিফিন শুভ। চারদিকেই তার জয়ধ্বনি। খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত তাকে বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বলেছেন, ‘কীভাবে করেছো? কীভাবে করলা এত সুন্দর করে!
শুধু প্রশংসাই নয়, ‘মুজিব’ দেখার পর ছবির শিল্পী-কুশলীদের বিশেষ নৈশভোজেও ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবারের সেই আয়োজনে শিল্পীদের একটি করে শুভেচ্ছা স্মারকও উপহার দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় ৮৩ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত হয়েছে মুজিব: একটি জাতির রূপকার।
এতে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব রেনুর ভূমিকায় নুসরাত ইমরোজ তিশা ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (রেনুর ছোটবেলার চরিত্রে), শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ভূমিকায় শহীদুল আলম সাচ্চু, খন্দকার মোশতাক চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু, আবদুল হামিদ খান ভাসানীর চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ, বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমানের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী, মাতা সায়েরা খাতুনের চরিত্রে দিলারা জামান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চরিত্রে তৌকীর আহমেদসহ শতাধিক অভিনয়শিল্পী ছবিটিতে কাজ করেছেন।